শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২১ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইল থেকে মো:রুবেল মিয়া:
১৯শনিবার বাদ আসর টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থান জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পাশে কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন হয়। জানাজা নামাজের আগে বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন,ফারুক ভাই আমাদের একাত্তরের সঙ্গী। তার সঙ্গে স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। আমরা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। এ ছাড়াও পরিবারের পক্ষে থেকে টাঙ্গাইলবাসীর কাছে ফারুক এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
এ সময় জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফজলুর রহমান খান ফারুক দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। পরে শনিবার সকালে তার কোন সাড়া-শব্দ না পেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফজলুর রহমান খান ফারুক পাকিস্তান গণ পরিষদ সদস্য এবং টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি,টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার তাকে ২০২১ সালে একুশে পদক দেয়।
ফজলুর রহমান ফারুক ১২ অক্টোবর ১৯৪৪ সালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ওয়ার্শী ইউনিয়নের রাজাপুর কহেলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন। তার স্ত্রী মৃত সুরাইয়া বেগম। তিনি একপুত্র এবং এক কন্যাসন্তানের জনক। তার পুত্র খান আহমেদ শুভ টাঙ্গাইল-৭ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য।
এদিকে, তাকে রাষ্ট্রিয় সম্মাননা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক প্রস্তুতি নেন। তবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্নয়কদের তোপের মুখে পড়েন। পরে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়।